বাদাম এবং চিনাবাদাম আয়ু বাড়াতে সক্ষম, এমনটাই বলছে নতুন এক গবেষণার ফলাফল।
গবেষণায় দৈনিক বাদাম খাওয়ার সঙ্গে মৃত্যুর হার কমার সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে। তবে পিনাট বাটারে এমন কোনো উপকার খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গবেষণায় আরও বলা হয়, বাদাম খেতে অভ্যস্ত নন এমন নারী ও পুরুষ তুলনায় যারা দৈনিক কমপক্ষে ১০ গ্রাম বাদাম বা চিনাবাদাম খান তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি কম।
গবেষণার প্রধান, নেদারল্যান্ডের মাস্ট্রিহিচ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিট ভন ডেন ব্রান্ডট বলেন, “এটা উল্লেখযোগ্য যে, দৈনিক গড়ে ১৫ গ্রাম বাদাম বা চিনাবাদাম গ্রহণের ফলে যে মুত্যুর ঝুঁকি যথেষ্ট পরিমাণে কমে আসে তা এরইমধ্যে লক্ষ করা গেছে।”
গবেষণায় দেখা গেছে, নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এই প্রভাব সমান। মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে গাছে ধরা বাদামের মতোই কার্যকর চিনাবাদাম। তবে পিনাট বাটার এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
‘নেদারল্যান্ডস কোহর্ট স্টাডি’ নামক গবেষণা থেকে এই পর্যালচনা করা হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ৫৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সি ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি নেদারল্যান্ডবাসীর উপর এই গবেষণা করা হচ্ছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা কী পরিমাণ এবং কতটা নিয়মিত বাদাম, চিনাবাদাম এবং পিনাট বাটার খান সে বিষয়ে প্রশ্ন করে তাদের বাদাম খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
১৯৮৬ সাল থেকেই গবেষকরা বাদাম গ্রহণ এবং মৃত্যুর হারের মধ্যকার সামগ্রিক এবং নির্দিষ্ট কারণভিত্তিক সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করছেন।
যদিও আমেরিকান ও এশিয়ার আগের গবেষণার ফলাফলগুলো নির্দিষ্ট করা হয়েছে এই বলে যে, বাদাম এবং চিনাবাদাম গ্রহণের সঙ্গে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর সম্পর্ক রয়েছে।
এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এপিডেমিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সার, ডায়বেটিস এবং শ্বাসযন্ত্র ও স্নায়ুকোষের ক্ষয়সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের কারণে মৃত্যুর হারও বাদাম এবং চিনাবাদাম গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে কম।
দেন ব্রান্ডট বলেন, “বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়ার ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
চিনাবাদাম ও বাদামে থাকে মনোআনস্যাচুরেইটেড ও পলিআনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি এসিড, বিভিন্ন ভিটামিন, আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অন্যান্য বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান। সম্ভবত এগুলোই মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।