ব্রণ প্রতিরোধে কাঁচা হলুদ

হলুদের অপর নাম বর্ণবতী। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঘরোয়া ঔষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখনও অনেকে আয়ুর্বেদ হিসাবে ব্যবহার করেন হলুদকে। এই ভেষজ ঔষুধে আছে কফ, বাত, পিত্ত, ব্রণ, চর্মরোগ, শোথ, পাণ্ডু, কৃমি, প্রমেহ, অরুচি, উদরী, বিষদোষসহ নানা রোগ প্রশমন করার ক্ষমতা। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে  মধুর সাথে কাঁচা হলুদ খেলে মুক্তি পাওয়া যায় অনেক রোগ থেকেই। বিশেষ করে ত্বকের যত্নের জন্য হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

১। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা হলুদ বাটা, আঙ্গুরের রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রনের উপরে লাগান। কিছু সময় পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ মিলিয়ে যাবে আর দাগও থাকবে না।
২। কাঁচা হলুদ ও শুকনো কমলার খোসা একত্রে বেটে স্ক্রাবার হিসাবে পুরো শরীরে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ত্বকে আসবে অন্যরকম গ্লো।
৩। সূর্যের তাপে গা জ্বলে গেলে বা পুড়ে গেলে কাঁচা হলুদ বাটার মধ্যে দই মিশিয়ে পোড়া ভাব দূর করা যেতে পারে।
৪। ব্রণের অন্যতম কারণ পেটের পিড়া। আর পেটের সংক্রমণ দমনে হলুদ খুবই কার্যকর। মাখন বা দুধের সাথে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। হলুদের শিকড় রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে এক চা চামচ মধু ও করলা পাতার রস মিশিয়ে পান করলে হামজ্বরে বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়।
৬। বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখন ফেস প্যাক ব্যবহার করুন। নিয়মিত লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
৭। হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৮। খুব বেশি কাশি হলে এক কাপ হালকা উষ্ণ পানিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করলে কাশির উপশম হয়।
৯। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে হলুদ মেশানো পানিতে গোসল করলে অ্যালার্জি ও র‌্যাশের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
১০। আয়ুর্বেদিক মতে, হলুদ রক্ত শুদ্ধ করে। তাই হলুদের ফুলের পেস্ট লাগালে চর্ম রোগ দূর হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post