উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ মাত্রই ধনী হতে চান। বাড়ি-গাড়ি-ক্ষমতা চান। কঠোর পরিশ্রম আর যোগ্যতা দিয়ে অনেকেই ধনী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করে থাকেন। চাইলেই চট করে ধনী হওয়া সম্ভব না এটা সত্যি তবে দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন বদলে দিতে পারে আপনার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি। মুক্তি পেতে পারেন মাসের শেষ কয়েকদিন পকেট ফাঁকা হয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন থেকে। আর এটা করতে পারেন খুব সহজে। বাড়ির বেশ কিছু জিনিস ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিন। অবিশ্বাসের চোখে তাকাচ্ছেন। বিশ্বাস করুন এটা সম্ভব। নিচের দেওয়া পরামর্শগুলো মেনে চলেই দেখুন না!
মৌচাক: বাড়ির ভিতর বা আশেপাশে মৌচাক থাকলে তা সরিয়ে দিন। মৌমাছি বাড়ির কাউকে কামড়ালে ডাক্তারের খরচ বেড়ে যাবে।
মাকড়সার ঝুল: বাড়িতে মাকড়সার ঝুল জমতে দেবেন না। মাকড়সার ঝুল থাকলে রোগ-জীবাণু ছড়ায়। অসুখে ভোগার আশঙ্কা থেকে যায়।
ভাঙা কাঁচ: ভাঙা আয়না বা কাঁচের টুকরো বাড়িতে পড়ে থাকতে দেবেন না। বলা হয়ে থাকে, ভাঙা কাঁচ বাড়িতে দারিদ্র ও অশুভ শক্তিকে ডেকে আনে। এটা মূলত কুসংস্কার। আসলে ভাঙা কাঁচে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
লিক হয়ে যাওয়া কল: বাড়ির বাথরুম বা বেসিনের ট্যাপ কলটির প্যাঁচ কেটে গিয়ে থাকলে তা পাল্টে ফেলুন। ভেবে দেখুন লিক হয়ে যাওয়া কলটি বদলে ফেললে পানির অপচয় রোধ করা যাবে। পাম্পের পানি বাঁচলে ইলেকট্রিক খরচও কমে যাবে।
আলগা তার: খুঁজে দেখুন তো বাড়ির কোথাও আলগা তার খুলে ঝুলে রয়েছে কি না৷ থাকলে আর সেটিকে বাড়িতে রাখবেন না। এধরনের তার থেকে বাড়িতে শর্ট সার্কিট হতে পারে। আর শর্ট সার্কিট হলে বাড়ির কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে তা আন্দাজ করতেই পারছেন
ছোট ছোট বিষয়গুলো থেকেই আপনি সাশ্রয়ী হতে শিখবেন। আপনি হয়ে উঠবেন সঞ্চয়ী। ক্ষুদ্র অঙ্কের সঞ্চয় জমে জমে হয়ে দাঁড়াতে পারে বিশাল অঙ্কে।
আরেকটা দিকে মনযোগ বাড়ান, তা হলো সামর্থ্যের মধ্যে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। বাড়ি যদি হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম তাহলে মন ভালো থাকবে। জানেন তো মন ভালো থাকলে যেকোনো কাজে উদ্যম থাকে। বাড়ির সামনে, বারান্দায় বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগান। বছরে দুইবার বাড়ির দেওয়ালে রং করার ব্যবস্থা করুন।