ডিম খান জেনে বুঝে!

একটা বয়সের পর ডিম খাওয়া ভাল না খারাপ? এ এক চিরন্তন বিতর্ক। যারা চল্লিশের কোঠায় পা রেখেছেন, তাদের অনেকেই এখন রোজ ডিম খেতে গেলে অন্তত দুইবার ভাবেন।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই। ডিমের দিকে তাকানোও যেন অপরাধ! সাম্প্রতিক গবেষণা কিন্তু বলছে অন্য কথা। বয়স্কদের জন্য ডিমকে আর বিপদ হিসেবে দেখতে রাজি নন ডাক্তাররা।

সাধারণত বয়স বাড়তে থাকলে খাদ্য তালিকা থেকে ডিমকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় ভিন্ন তথ্য মিলেছে।
৬১ বছর বয়স। এমন ১২শ জনকে নিয়ে সমীক্ষা করেছিলেন কানাডার কয়েকজন গবেষক। তাতে দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে দুটি করে ডিম খান, তাদের শরীরে ক্যারোটিড প্লেক তৈরি হওয়ার প্রবণতা বেশি। ক্যারোটিড প্লেক মোমের মতন এক ধরনের পদার্থ যা ধমনীতে বসে গিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
কানাডার আরেক গবেষক, ব্রিটিশ ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হেলেন বন্ড বলছেন অন্য কথা। তিরিশ বছরের গবেষণায় তার দাবি, কোলেস্টরেলের মাত্রার ওপর ডিমের কোনও প্রভাব সে অর্থে নেই। বয়স হলেও ডিম খাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন।
আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন এবং ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টার গবেষকরা বলছেন, একটি বড় ডিমে ৭০ ক্যালোরি থাকে। ডিমের হাই কোয়ালিটি প্রোটিন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। বয়সজনিত কারণে অনেক সময় মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়, ডিমের কুসুমে যে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে তা মাংসপেশিকে সুস্থ রাখে, ছানি প্রতিরোধ করে।
তাদের মতে, ডিমের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে।
ডিমের এত গুণ বিচার করে গবেষকরা বলছেন, বয়স হলেই এমন খাদ্যটিকে ছেড়ে দেবেন না। ডিম খেতে হবে। তবে পরিমাণ মতো। সূত্র: জিনিউজ

Post a Comment

Previous Post Next Post